মোটা হওয়ার ১০ টি কার্যকরী টিপস

: কেন আপনি মোটা হতে পারছেন না তার বিভিন্ন কারণ জেনে নিন

 আমরা সকলেই জানি স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। তাই আমরা সকলে চাই সুস্থ ,সুন্দ্‌র  সুদর্শন এবং সুঠাম দেহের অধিকারী হতে। আজ আমরা এই ব্লগে আলোচনা করব কিভাবে মোটা হওয়া যায়। কিভাবে রোগা পাতলা শরীর থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ সুন্দর এবং সুঠামদেহের অধিকারী হওয়া যায়। এখন আমরা জানবো মোটা হওয়ার দশটি কার্যকরী উপায়।

এক নজরে আলোচ্য বিষয়বস্তুর সূচিপত্র গুলো দেখে নেইঃ

ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করাঃ

খাবার তালিকায় শাকসবজি রাখাঃ

আপনার খাবারে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার পেটকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে। পেট ভালো না থাকলে মোটা হওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়ে উঠতে পারে । তাই পেটকে ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি গ্রহণ করুন।

আরো পড়ুনঃ পেটকে সুস্থ রাখতে কি করণীয়

প্রতিদিন খাবার রুটিনে বিভিন্ন বাদাম  রাখুনঃ

বাদাম পৃথিবীর উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার গুলোর মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন কেউ যদি ২৫০ গ্রাম বাদাম খায় তাহলে সে ৩০ দিনের মাথায় সে নিজের অভাব্য পরিবর্তন দেখতে পাবে.।

নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময় খাওয়াঃ

মোটা হওয়ার প্রধান শর্ত নিয়ম মেনে খাওয়া নির্দিষ্ট সময় খাওয়া। আপনি যদি নিয়ম মেনে বা নির্দিষ্ট সময় না খান তাহলে আপনার জন্য মোটা হওয়ার স্বপ্নটা শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই আপনি যদি নিজের শরীরকে মোটা তাজা সুস্থ সুন্দর এবং সুঠাম করতে চান, তাহলে 

আপনাকে নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  কিভাবে আপনার খাবার রুটিন তৈরি করবেন

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ

আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কেননা পানি আপনার পেশীকে সচল এবং শক্তিশালী করে তুলবে। দৈনিক আপনাকে পাঁচ থেকে সাত লিটার পানি পান করতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে খাবার পরপরই পানি গ্রহণ করবেন না অন্তত এক খাবার ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট পর পানি পান করুন।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত পানি খাওয়া ক্ষতিকর দিকগুলো

ব্যায়াম করাঃ

সবাই দ্রুত মোটা হতে চায় আর এই দ্রুত মোটা হতে গেলে সবারই প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম করা। কারণ আপনি যদি ব্যায়াম না করেন আপনার শরীরের পেশিগুলো শক্তিশালী হবে না, সুঠাম হবে না। আর রোগা পাতলা থেকে মোটা হওয়ার প্রধান টনিক হতে পারে নিয়মিত ব্যায়াম করা।

আরো পড়ুনঃ  নিয়ম মেনে ব্যায়াম না করার অপকারিতা

চিন্তা মুক্ত থাকাঃ 

আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। আর এই চিন্তা মুক্ত থাকতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে যাতে চিন্তা নামে কোন শব্দ আপনাকে আক্রান্ত না করতে পারে। কারণ আপনি যদি চিন্তা গ্রস্ত হয়ে থাকেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনি মোটা হওয়ার যে স্বপ্ন দেখছেন রোগা পাতলা শরীরকে যে সুঠাম করার চিন্তা করছে্‌ন সেটা শুধু চিন্তাই হবে।

আরো পড়ুনঃ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কারণে কি কি ক্ষতি হতে পারে।

মেডিটেশন করাঃ

 নিজেকে সুস্থ রাখতে মেডিটেশন সকলের জন্য অত্যাবশ্যক। আর হ্যাঁ নিজেকে মোটা তাজা করতে এই সুস্থতা কিন্তু আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই নিজের রোগা পাতলা শরীরকে মোটা সুদর্শন করতে মেডিটেশন করা সকলের জন্য প্রযোজ্য।

আরো পড়ুনঃ মেডিটেশন করার সঠিক সময় জেনে নিন।

ঘুমানোর আগে দুধ মধু খানঃ 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খান যেটা আপনার শরীরকে সারাটা রাত ক্যালরিযুক্ত করে রাখে আর ঘুমানোর পূর্বে আপনাকে দুধ আর মধু খাওয়ার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে যে ঘুমানোর পূর্বে দুধ আর মধু মিশ্রিত করে খেলে তার ওজন বৃদ্ধি পায় তাই আপনাকে ঘুমানোর আগে দুধ এবং মধু মিশ্রিত করে খেতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ সুস্থ থাকার জন্য কোন খাবার খাওয়া উচিত

প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোঃ

রোগা শরীর থেকে মোটা শরীর তৈরি করতে উপরের উল্লেখিত বিষয় ছাড়াও, আপনার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা সেটা হল- আপনার নিয়মিত ঘুম। আপনার ঘুম যদি পরিপূর্ণ না হয় তাহলে উপরের উল্লেখিত সবগুলো বিষয় মানা সত্ত্বেও আপনি মোটা হতে পারবেন না। তাই নিজের রোগা পাতলা শরীরকে মোটা করতে হলে সুদর্শন করতে হলে নিয়মিত .৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ঘুম না হওয়ার ১০ টি কারণ।

শেষ কথা

আপনাকে উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আপনার শরীরকে মোটা সুদর্শন এবং সুঠামো করার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই আপনি যদি আপনার শরীরকে সুদর্শন করতে চান, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলুন এবং নিজেকে সুদর্শন ভাবে প্রদর্শন করুন। মনে রাখবেন স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।